শিমের বীচি খেলে কি ওজন বাড়ে
শিমের বিচি খেলে কি ওজন বাড়ে এই প্রশ্নটি আমাদের সবার মনেই আছে। আমরা সবাই স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন তাই কোনো কিছু খাওয়ার আগে আমরা যাটাই করে নিই এটা আমাদের জন্য ভালো না ক্ষতিকর, আমাদের ওজন বাড়াবে নাকি ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখবে। এই বোধ থেকেই শিমের বিচি সম্পর্কে এই প্রশ্ন আমাদের সবার মনে আসে। আর এটাই স্বাভাবিক।
আসলে শিমের বিচি খেলে ওজন বাড়ে না বরং নিয়ন্ত্রণে থাকে। শিমের বিচিতে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুনাগুণ (যেমনঃ প্রোটিন, ভিটামিন, আঁশ ) থাকে, যা শরীরকে ফিট রাখে। বাংলাদেশ ছাড়াও, এটা বিশ্বের অন্যান্য দেশের খাদ্য তালিকাই গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করে আছে। সিদ্ধ, তরকারি, সালাদ ইত্যাদি বিভিন্নভাবে শিমের বিচি খাওয়া হয়ে থাকে। সব আইটেম গুলোই পুষ্টিতে ভরপুর। এই আর্টিকেলে শিমের বিচি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হলো।
পেজ সূচীপত্রঃ শিমের বীচি খেলে কি ওজন বাড়ে
- শিমের বীচি খেলে কি ওজন বাড়ে
- শিমের বীচির প্রকারভেদ
- শিমের বীচির পুষ্টিগুণ
- প্রত্যাহিক জীবনে শিমের বীচি খাওয়ার গুরুত্ব
- সঠিকভাবে শিমের বিচি খাওয়ার উপায়
- শিমের বীচি সম্পর্কে ভুল ধারনা
- শিমের বীচি সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ
- ওজন বাড়ার আসল কারণ
- আমাদের দেশে শিমের বীচির জনপ্রিয়তা
- সতর্কতা
- লেখকের মন্তব্য
শিমের বীচি খেলে কি ওজন বাড়ে
শিমের বিচি খেলে ওজন বাড়ে না বা অন্য কোনো সমস্যা হয় না বরং এটি আমাদের শরীরের
জন্য অনেক উপকারী। এটি আমাদের ক্ষত সারাতে, দেহের কোষ গঠনে এবং পেশি শক্তিশালি
করতে সাহায্য করে। এছাড়াও আঁশের গুনাগুণ থাকাই, এটি হজমে সহায়তা করে, ফলে
দীর্ঘ সময় ধরে পেট ভরটি থাকে এবং অতিরিক্ত খাবার আগ্রহ কমে যাই।
প্রকৃতপক্ষে শিমের বীচি আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী যা আমরা কিছুদিন খাওয়ার
পড়ে শরীরের বিভিন্ন পরিবর্তন থেকে বুঝতে পারি।
আরেকটি চমৎকার বিষয় হোচ্ছে, শিমের বীচিতে চর্বির পরিমাণ খুবই কম থাকে যা আমাদের
ফিটনেস এর জন্য খুবই উপকারী। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও সমানভাবে উপকারি।
আপনারা যারা ডায়াবেটিস রোগী আছেন তারা নিশ্চিন্তে এটি খেতে পারেন। শিমের বীচি
মূলত সুষম খাবারের অংশ কারণ এটি আমাদের মানসিক সতেজটা বজায় এবং শরিরে শক্তি
জোগায়। এর আরেকটি উপকারী দিক হলো এটি শরীরে অপ্রয়োজনীয় চর্বি জমতে দেয়
না।
শিমের বীচির প্রকারভেদ
শিমের বীচি একটি পুষ্টিকর খাদ্য যা আমরা প্রতিনিয়ত খেয়ে থাকি। কিন্তু অনেকে
আমরা এর প্রকারভেদ সম্পর্কে জানিনা তাহলে চলুন নিচে এর প্রকারভেদ সম্পর্কে জেনে
নেই।
- সবুজ শিমঃ এটিই আমাদের কাছে সবচেয়ে বেশি পরিচিত, এটি আমরা ভাজি বা তরকারি হিসেবে প্রায় খেয়ে থাকি।
- লাল শিমঃ এটি দেখতে লাল রঙের হয়ে থাকে এবং আকারে বড়। সালাদ বা স্যুপ করে মানুষ খেয়ে থাকে।
- কালো শিমঃ এটি আমাদের দেশে দেখা যায় না সাধারণত লাতিন আমেরিকা বা দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে জন্মায়।
- ছোট শিমঃ এটি আকারে ছোট হয় এবং খেতে মিষ্টি, তাই শিশুদের পছন্দের একটি খাবার।
শিমের বীচি জনপ্রিয় একটি শস্য খাদ্য যা প্রায় সারা বিশ্বের মানুষই গ্রহণ করে
থাকে। দেশ ও আবহাওয়া অনুযায়ী এর অনেক রকম প্রজাতি পাওয়া যায়। সব প্রজাতির শিমই
পুষ্টি মানে ভরপুর ও খেতেও ভারী মজা। তবে এটাও ঠিক যে প্রজাতি ভেদে পুষ্টি মানেরও
ভিন্নতা রয়েছে। কিন্তু মূল কথা এটাই যে, সব ধরনের শিমই আমাদের স্বাস্থ্য রক্ষাই
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই আমাদেরও উচিত এর পুষ্টি গুনাগুণ সম্পর্কে ভালো
করে জানা।
শিমের বীচির পুষ্টিগুণ
শিমের বীচি হোলো অত্যন্ত পুষ্টিকর খাদ্য গুলোর মধ্যে অন্যতম। এতে বিভিন্ন ধরনের
পুষ্টি থাকে যা আমাদের স্বাস্থ্য ও বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয়। সব ধরনের শিমের বীচিই
প্রোটিনের চমৎকার একটি উৎস। প্রোটিন আমাদের শরীরে হরমোন ও এনজাইম তৈরি করে, পেশি
ও কোষ গঠন করে। যারা মাছ বা মাংস খায়না, শিমের বীচি তাদের জন্য প্রোটিনের
গুরুত্বপূর্ণ একটি উৎস। এটি শুধু মজার একটি খাদ্যই নয়, নানা পুষ্টি উপাদানে
ভরপুর।
আরও পড়ুনঃ শিম চাষের উপায়
আমরা সবাই carbohydrates এর কথা শুনেছি, এটি আমাদের শরীরে প্রতিদিনের
কর্মকাণ্ডের জন্য শক্তি যোগায়। এই carbohydrates ও শিমের বীচির মধ্যে
অন্তর্ভুক্ত থাকে। ফলে আমরা অনেক সময় ধরে কর্মশক্তিপূর্ণ থাকতে পারি। আগেই উল্লেখ
করা হয়েছে যে, শিমের বীচিতে আঁশও বিদ্যমান থাকে যা আমাদের হজমে সহায়তা করে এবং
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। এছাড়াও আঁশ রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে এবং
কোলেস্টেরল কমানোর মাধ্যমে হার্ট অ্যাটাক এর ঝুঁকি কমায়।
প্রত্যাহিক জীবনে শিমের বীচি খাওয়ার গুরুত্ব
একটি স্বাস্থ্যকর ও সুষম খাদ্য তালিকা বজায় রাখতে শিমের বীচির গুরুত্ব
অপরিসীম। এটি প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ যা আমাদের দেহকে বৃদ্ধি করতে,
শক্তিশালী থাকতে এবং রোগের বিরুধে লড়াই করতে সহায়তা করে। বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও খনিজ যেমন ভিটামিন বি, আয়রন,
ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম ও পটাসিয়াম ইত্যাদি ও শিমের বীচির মধ্যে বিদ্যমান
থাকে যা শক্ত হাড় তৈরিতে, রক্ত গঠনে এবং পেশির সঠিক কার্যক্রমে সহায়তা
করে।
সঠিকভাবে শিমের বীচি খাওয়ার উপায়
আমরা শিমের বীচি খেলেও শিমের বীচি খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে অনেকেই
জানিনা। এর ফলে আমরা শিমের বীচি থেকে আধিকাংশ পুষ্টি পায়না এবং বদহজমজনিত সমস্যায়
ভুগী। তাই শিমের বীচি থেকে সম্পূর্ণ পুষ্টি পেতে ও পরিপাকজনিত সমস্যা দূর করতে
আমরা এখন সঠিকভাবে শিমের বীচি খাওয়ার নিয়মগুলো সম্পর্কে ভালোভাবে
জানবো ও সেভাবে খাওয়ার চেষ্টা করবো।
রান্নার পূর্বে শিমের বীচি ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা বা সারারাত ভিজিয়ে রাখলে সেটা
রান্না করা অনেক সহজ হয় এবং বিভিন্ন প্রাকৃতিক পদার্থ দূর হয় যা গ্যাসের কারণ হতে
পারে। সবথেকে স্বাস্থ্যকরভাবে শিমের বীচি খাওয়ার উপায় হলো বীচিগুলোকে সিদ্ধো করা।
সিদ্ধো করা বীচি এমনি খাওয়া যায়, সালাদ করে খাওয়া যায় ও তারকারি করেও খাওয়া
যায়। সিদ্ধো করা বীচি খেতেও নরম হয় আর পুষ্টিগুণও বজায় থাকে। এছাড়াও শিমের বীচি
বিভিন্ন সবজির সাথে মিশিয়ে রান্না করে যেতে পারে।
শিমের বীচি সম্পর্কে ভুল ধারণা
শিমের বীচি সুষম খাবার হওয়া সত্ত্বেও কিছু মানুষের এটা সম্পর্কর ভুল ধারণা
রয়েছে যার ফলে অনেকে শিমের বীচি খাওয়া থেকে দূরে থাকে। কিছু মানুষ ভাবে শিমের
বীচি খেলেই গাস হয় কিন্তু এটা সঠিক না। শিমের বীচি ভিজিয়ে বা সিদ্ধো করে রান্না
করে খেলে কখনই গাস হয় না কিন্তু সিদ্ধো বা ভিজিয়ে না খেলে তখন গ্যাসের কারণ হতে
পারে। অনেকেই ভাবে শিমের বীচিতে খুবই কম পরিমাণ পুষ্টি উপাদান থাকে যা
সম্পূর্ণরূপে ভুল। কারন এটা প্রোটিন, ভিটামিন, আঁশ ও খনিজে সমৃদ্ধ।
আরও পড়ুনঃ শিম গাছের রোগ সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান
অনেকে এটাও মনে করে যে শিমের বীচি খেলে মানুষ মোটা হয়ে যায় যা আরেকটি
ভুল ধারণা। কেননা এতে চর্বির পরিমাণ অনেক কম থাকে বরং এটি আমাদের ফিট থাকতে
সহায়তা করে। আরেকটি বড়ো ভুল ধারণা হল কিছু মানুষ ভাবে এটা শুধু গরিবের খাদ্য
কারণ এটা দামে সস্তা। কিন্তু আমাদের এটা বোঝা উচিত যে এটা দামে সস্তা
হলেও পুষ্টিমানে সমৃদ্ধ। যাইহোক, সারা পৃথিবীর মানুষই এটিকে সুষম খাবার
হিসেবে খেয়ে থাকে। কিছু মানুষ তাদের জ্ঞানের স্বল্পতার কারণে এসব ভুল ধারণা
করফে থাকে।
শিমের বীচি সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ
শিমের বীচি যে পুষ্টিমানে ভরপুর তা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত। বিজ্ঞানীরাও স্বীকার
করে যে এতে প্রচুরপরিমাণে পুষ্টি উপাদান রয়েছে। তবে হ্যাঁ পুষ্টির মান শিমের
বিভিন্ন প্রজাতি ভেদে ভিন্ন হতে পারে। বৈজ্ঞানিকভাবে দেখা গেছে, জৈব যৌগ ( যেমন
ফেনলিক অ্যাসিড, ফ্ল্যাভোয়েড, স্যাপোনিন ও ফাইটস্টেরল ) ক্যান্সার, ডায়াবেটিস ও
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় সাথে শরীরের কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। আর এই জৈব
যৌগগুলো শিমের বীচিতে পাওয়া যায়।
শিমের বীচি আমাদের যে উপকারগুলো করে তা হচ্ছে রোগপ্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়,
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়, হজমে সাহায্য করে, শরীরকে ফিট রাখে আরও অনেক উপকার করে
থাকে। বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে, শিমের বীচিকে একটি কার্যকরী খাদ্য উপাদান হিসেবে
ধরা হয়। তাই সুষম খাদ্য তালিকায় শিমের বীচি রাখা। আমাদেরও এটি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে
তোলা উচিত।
ওজন বাড়ার আসল কারণ
মানুষ যখন অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত ক্যালোরি যুক্ত খাবার খাই তখন তাদের দেহের ওজন
বেড়ে যায়। যেমনঃ ফাস্ট ফুড, সুগারী ড্রিংক, প্রক্রিয়াজাত খাবার ইত্যাদি। এই
খাবারগুলো ওজন বৃদ্ধির সাথে মারাত্মকভাবে সম্পর্কযুক্ত। এছাড়াও শারীরিক ব্যায়ামের
অভাবেও মানুষ মোটা হতে পারে। কর্মস্থলে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার কারণে চর্বি জমা হয়ে
মানুষ মোটা হয়ে যায়। বেশিরভাগ লোকেরই খাদ্য তালিকা ভারসাম্যহীন অর্থাৎ তাদের
খাদ্য তালিকায় সুষম খাবারের সংখ্যা খুবই কম থাকে।
উপরের কারণগুলো ছাড়াও আরও কিছু বিষয় রয়েছে যা ওজন বাড়ার সাথে সংশ্লিষ্ট। যেমনঃ
হরমোন জনিত কারণে অনেকে মোটা হয়ে যায়, জেনেটিক্সজনিত কারণে আবার কেউ মোটা
হয়, ওষুধের নেগেটিভ প্রভাবের কারণে কেউ কেউ মোটা হতে পারে। ঘুমের স্বল্পতাও অনেক
সময় মানুষকে ওজন বৃদ্ধির দিকে ধাবিত করে কারণ অতিরিক্ত খাবার প্রবণতা বেড়ে যায়।
ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য খাবার, ঘুম, শারীরিক ব্যায়াম, চলাফেরা ইত্যাদি সবকিছুতে
ভারসাম্য বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আমাদের দেশে শিমের বীচির জনপ্রিয়তা
আমাদের দেশে শিমের বীচি খুবই জনপ্রিয়। সারা দেশ জুড়ে এটি খাওয়া হয়ে থাকে। আমাদের
দেশের মানুষ বিভিন্নভাবে এটি খেয়ে থাকে। সালাদ করে, মাছের সাথে রান্না করে, শুধু
সবজি দিয়ে রান্না করে, ভর্তা করে, খিচুড়ির সাথে রান্না করে, ভাজি করে খাওয়া
হয়। সমস্ত রেসিপিই খেতে দারুণ লাগে। আবার এটা দামেও সস্তা এবং সহজলভ্য। আর শুধু
আমাদের দেশে নয় অন্যান্য দেশেও এটি সমানভাবে জনপ্রিয়।
শিম চাষ আমাদের দেশের আবহাওয়ার সাথে খুবই উপযোগী। সাধারণত শীতকালে এটি চাষ করা
হয়ে থাকে এবং শিম চাষ থেকে কৃষকেরা ভালো লাভও করতে পারে। বাজারে শিমের চাহিদা
ব্যাপক, এই চাহিদা দেখেই বোঝা যাই বাংলাদেশে শিম ও শিমের বীচি কতোটা বেশি। শিমের
এই চাহিদার জন্য বাণিজ্যিকভাবে শিম উৎপাদনের প্রবণতা বিপুল হারে বেড়েছে। শীতকাল
ছাড়াও, শিমের বীচি বছর ধরে সংরক্ষণ করে রাখা যায়।
সতর্কতা
শিম বা শিমের বীচি আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। কিন্তু আমাদের অসতর্কতার
কারণে এটা মাঝে মাঝে ক্ষতির কারণ হতে পারে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, রান্না করার
পূর্বে অবশ্যই বীচিগুলোকে পানিতে ৬-৭ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে বা সিদ্ধো করে
নিতে হবে। অন্যথায় পেটে বদহজমজনিত সমস্যা দেখা দিবে। হাতে সময় না থাকলে অন্তত
২৫-২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখতেই হবে।
আরও পড়ুনঃ কিভাবে শিম চাষে অধিক ফলন পাওয়া যায়
আবার কিছু মানুষের শিমে অ্যালার্জি থাকতে পারে সেক্ষেত্রে শিম বা শিমের বীচি
খেলে কয়েকটি লক্ষণ দেখা দিতে পারে যেমনঃ চুলকানো, ফুলে যাওয়া বা পেটের
সমস্যা। অতিরিক্ত শিমের বীচি খেলে পরিপাকতন্ত্র তার ভারসাম্য হারায়ে ফেলে।
এছাড়াও বেশি পুরনো বা ছ্যাতা ধরা বীচিতে অ্যাফ্লাটক্সিন এর মতো ক্ষতিকর বিষ
থাকতে পারে। তাই শিমের বীচি খাওয়ার পূর্বে আমাদের সবার উচিত এই বিষয়গুলো
পর্যালোচনা করে দেখা, যাতে এর ক্ষতিকর দিকগুলো আমরা সর্বদা পরিহার করতে
পারি।
লেখকের মন্তব্য
সঠিক পদ্ধতিতে শিমের বীচি খেলে এটা কখনই আপনাদের ওজন বাড়াবে না তাছাড়া শিমের
বীচিতে চর্বির পরিমাণ খুবই কম এবং প্রোটিনে ভরপুর যা পেট ভর্তি রাখার মাধ্যমে
আমাদেরকে অতিরিক্ত খাওয়া থেকে আটকায়। এজন্য খাদ্য তালিকাই আমাদের শিম বা শিমের
বীচি রাখার চেষ্টা করতে হবে সেই সাথে উপরিক্তো সতর্কতাও অবলম্বন করতে হবে। সমস্ত
বিষয়ে এভাবে সতর্ক থাকার মাধ্যমে আমরা একটা সুস্বাস্থ্য জিবন পরিচালনা করতে
পারি।



এগিয়ে যাও এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url